শিরোনাম
চলছে প্রস্তুতি, কার্যকর হতে পারে ১ এপ্রিল থেকে
Passenger Voice | ১২:২৩ পিএম, ২০২৪-০৩-১৭
রেলে রেয়াত সুবিধা উঠে যাচ্ছে। এতে ট্রেনের ভাড়া বাড়বে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বাদে অন্যান্য রুটের যাত্রীরা ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে ভাড়ায় ২০ শতাংশ রেয়াত পান। ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে রেয়াত পান ২৫ শতাংশ। আগামী এপ্রিল মাস থেকে এ সুবিধা আর থাকছে না।
যাত্রীর আবেদনে সংযোজন করা অতিরিক্ত বগির ভাড়া বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। সংযোজিত বগির শোভন শ্রেণিতে ২০ শতাংশ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (স্নিগ্ধা) ও অন্যান্য উচ্চ শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ যোগ করা হবে ভাড়ার সঙ্গে।
রেল সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। তবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম তা স্পষ্ট করেননি।
গতকাল শনিবার রাজবাড়ীতে তিনি বলেছেন, আপাতত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই। ২০১৬ সালে নির্ধারিত ভাড়ায় চলছে রেল। গত ৮ বছরে সবকিছুর দাম বেড়েছে। তেল, বগি, ইঞ্জিন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে। তবে যখন ট্রেনের ভাড়া বাড়াব, তখন সাংবাদিকদের জানিয়েই বাড়াব।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। ১০০ কিলোমিটারের পর ২০ শতাংশ এবং ২৫০ কিলোমিটারের পর ২৫ শতাংশ ছাড় পান যাত্রীরা। এই রুটে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৩৪৫ টাকা। বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে এই শ্রেণিতে ভাড়া ৪০৫ টাকা। কিন্তু রেয়াত সুবিধাবিহীন এবং বিরতিহীন পর্যটক এক্সপ্রেসে ভাড়া ৪৫০ টাকা। রেয়াত সুবিধা উঠে গেলে সাধারণ ট্রেনেও শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া হবে ৪০৫ টাকা।
রেল সূত্র জানিয়েছে, যাত্রী ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা বাতিল হলেও পণ্য পরিবহনে তা অব্যাহত থাকবে। কারণ, ট্রেনের যাত্রী সংকট না থাকলেও, পরিবহন করার মতো পণ্যের সংকট রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পণ্য পরিবহনে বিদ্যমান সুবিধা বহাল রাখা হবে।
১৯৯২ সালে ট্রেনের ভাড়ায় রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয়। রেয়াত বাতিলে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমতি পেয়েছে লোকসানে থাকা রেলওয়ে। আয় বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হতে পারে। সেদিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২২ মার্চ থেকে।
টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সহজ লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা সমকালকে জানিয়েছেন, নতুন ভাড়া কার্যকরের প্রস্তুতি চলছে। ২২ মার্চ থেকে যে টিকিট বিক্রি হবে, তা বর্ধিত ভাড়ায় বিক্রি করা হবে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর রেলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই পরিবহন সংস্থার উন্নয়নে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো। বিপরীতে রেল আয় করেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ১ টাকা আয় করতে ২ টাকা ৭৮ পয়সা খরচ করছে রেল। এ ব্যবধান কমাতেই ভাড়া বাড়াতে যাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেল। ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। নতুন নির্মিত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে পন্টেজ চার্জ যোগ করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন রেলসেতুর প্রতি কিলোমিটারকে ২৫ কিলোমিটার এবং ভায়াডাক্ট বা রেল ফ্লাইওভারের প্রতি কিলোমিটারকে পাঁচ কিলোমিটার হিসাব করে বাণিজ্যিক দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়। এতে বাণিজ্যিক দূরুত্ব বেড়েছে। রেয়াত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্যিক দূরত্বের কারণে ভাড়া বাড়বে। সূত্র : সমকাল
প্যা.ভ/ত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.